মিরপুরে বিএনপি শিবিরের মিছিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা, গ্রেপ্তার ২, প্রবাসীদের বিরুদ্ধেও মামলা
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বিএনপি ও জামায়াত সভা, সমাবেশ ও মিছিল করে। এইসবের বেশিরভাগ-ই পুলিশি হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং পুলিশ ও ছাত্রলীগ/যুবলীগের হামলার শিকার হয় অনেকগুলো মিছিল। ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন যার মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিরপুরের শিয়ালবাড়ীর প্রশিকার কাছকাছি বিএনপি-সমর্থক ৬০/৭০ জনের মিছিলে পুলিশ অতর্কিত গতকাল দুপুরে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জহিরউদ্দিন স্বপন-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী উলিয়ার হোসাইন ও তার আত্মীয় এনামুল হক-কে মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠায় রূপনগর থানার পুলিশ। এই প্রতিবেদন লিখবার সময় অসমর্থিত সূত্রে জানা যায় পুলিশ কমপক্ষে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ও ৭/৮ জনকে আসামী করে রূপনগর থানায় মামলা দিয়েছে (মামলা নং – জি.আর. – ৫২২০/২০২০)।
এই সূত্র আরো জানায় মামলার এজাহারে বাংলাদেশে বর্তমানে অবস্থান করছেন না এমন দুজনের নাম পাওয়া গেছে – মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (৩৭) ও মোঃ মইন উদ্দীন চৌধুরী (৩৮), উভয়েই যুক্তরাজ্য প্রবাসী। এর মধ্যে শহীদুল ইসলাম উলিয়ার হোসাইন ও এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং জহির উদ্দীন স্বপন এর সাথে যুক্তরাজ্যে একাধিকবার দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। এই পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো কিছুর উত্তর দিতে অপরাগতা জানান এবং নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন তারা আতঙ্কে দিনানিপাত করছেন।
এই ব্যাপারে রূপনগর থানার এএসআই ওয়াহেদুজ্জামান এর মন্তব্য চাইলে উনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান এই ঘটনা ও দিনের অন্যান্য ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেন, সরকারের আচরণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিকেশ করে দেয়ার উগ্র বাসনা দেখতে পাই শুধু। বাংলাদেশের মানুষ এগুলোর হিশেব রাখছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে যেদিন, সবকিছুর ফয়সালা হবে সেদিন। এইসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে উলটা পালটা যা পারছে তা-ই করছে। যে মৃত, যে দেশে নেই, তাকেও শূলে চড়ানো হচ্ছে। কোনো নমনীয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে না।আন্তর্জাতিক মহল এই তামাশা আর বেশিদিন সহ্য করবেন না।