সংখ্যালঘুদের পর প্রগতিশীলদের ওপর হামলাঃ প্রশাসন নীরব ও নিরুত্তর
সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল গোষ্ঠীসমূহের লাগাতার হামলার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি প্রেস ব্রিফিং-এ গত পাঁচ মাসে উঠে এসেছে এই হামলার কথা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে প্রগতিশীল মুক্তমনা লেখক/ব্লগার ওপরে হামলার যে হার, সেটা আশঙ্কাজনক বলে আখ্যায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টে এবং আন্তর্জাতিক সরকারী ও বেসরকারী গণমাধ্যমে। এই সমালোচনার কোনো যথার্থ জবাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিতে পারেনি আজতক এবং এই ব্যার্থতাকে বর্তমান অন্তঃবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এইসকল আক্রমণ-হামলাকে সমর্থন দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে বেশ কিছু সেক্যুলার ও প্রগতিশীল ধর্ম-অবিশ্বাসী ব্লগ/ওয়েবসাইট/মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করা বা মন্তব্য করা লেখক/মন্তব্যকারী/ব্লগারদের বাসায় হামলার ঘটনা। বিশেষ করে এথিস্টনোট, এথিস্ট ইন বাংলাদেশ, এথিস্ট এরা এসম্ত প্ল্যাটফর্মে যারা লিখালিখি করেছেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে। ঢাকায়, চট্টগ্রামে, রাজশাহীতে, কুমিল্লায়, সিলেটে বিশেষ করে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখক/ব্লগারদের আক্রান্ত পরিবারেরা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন এবং এইসব হামলার বিচারের জন্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কাছে কোনো সাহায্য পাননি। অত্র এলাকাগুলোর থানায় যোগাযোগ করলে এ-ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আক্রান্ত লেখক/ব্লগারদের মধ্যে নিম্নোক্তদের সনাক্ত করে গেছে – রোমানা আক্তার রুমকি, ফাহিন আলম, মোর্শেদ আলম, আব্দুল কাদের সুমেল, শামীম আল মামুন, শিপলু কুমার বর্মণ, মোঃ জাকির হোসাইন, আবু বকর সিদ্দিক, মোঃ সাব্বির হোসাইন, মোঃ আবির হোসাইন, মনিরা পারভীন, মোঃ ফাহাদ হোসাইন, মিজানুর রহমান সহ প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায়য়ের প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক