এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার: ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত এক গোলটেবিল সভায় তিনি একথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যের অবস্থা এত ভয়ঙ্কর, এত ভয়াবহ যে এই মুহূর্তে তাকে বের করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। শুক্রবার একজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি জানালেন, যে ড্যামেজ তার হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না। তার বাঁ হাত; বাঁ সাইডটা প্যারালাইজড।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কারও সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। অথচ পিজির পরিচালক বলছেন- তিনি ভালো আছেন, আগের চেয়ে এখন ভালো। ধিক্কার দেই আমি জ্ঞানহীন এই মানুষদের। যারা সত্যকে গোপন করে, তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই।

এ সময় আগামী ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সত্যিকার অবস্থা দেশের মানুষ জানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ৫ ডিসেম্বর আদালত রিপোর্ট চেয়েছেন। সারাদেশের মানুষ প্রত্যাশা করছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সত্য কথাটা বলবেন এই দিন।

বিএনপি কখনও সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনীতি করতে চাই। এটা বারবার বলেছি এবং প্রমাণিত হয়েছে। সন্ত্রাসী তো এই সরকার। গত নির্বাচনে তারা সন্ত্রাস করে জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এখনও সন্ত্রাস করে জোর করে মানুষকে দাবিয়ে রেখে তারা টিকে থাকতে চাচ্ছে।

শরীক নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলছেন, প্রেস ক্লাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বক্তব্য দিয়ে কিছু হবে না। আমি বলছি, আপনারা গ্রামে গ্রামে, হাটবাজারে যান। মানুষকে সম্মিলিত করার চেষ্টা করেন। শুধু বিএনপির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আপনাদের দায়িত্বটাও পালন করতে হবে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেয়ালের লিখনগুলো আপনারা পড়ুন। কোনো শাসক যদি দেয়ালের লিখন পড়তো, মানুষের চোখের ভাষা বুঝতো, মানুষের কথা বুঝতো, তাহলে এভাবে তারা অমানুষ হতে পারত না। আজকে কোনো সরকার আছে নাকি? কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। যার যা খুশি করছে।

দেশে এখন সর্বত্র উৎসব চলছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগামীতে জন্মোৎসব হবে, কার টাকায় করছেন? এটাতো পাবলিক ফান্ড। আপনারা জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। পেঁয়াজের দাম ২৪০ টাকা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি পেঁয়াজ খান না, সাথে আমাদের রাষ্ট্রপতিও একই কথা বলেছেন। আজ আমার স্ত্রীও বললেন আমি আর পেঁয়াজ কিনছি না। চালের দাম বাড়ায় আমাদের খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ এখন শুধু চাল খাচ্ছে। তাই চালের ওপর চাপ পড়েছে। এগুলো শুধু বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে পরিহাস।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির একাংশের প্রধান মোস্তফা জামান হায়দার, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *