বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করবার অভিযোগে দৈনিক নবযুগ ফের ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত
গত ৯-ই মে ২০২০৩-এ প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য রক্ষী বাহিনী, এবং র্যাব-এর বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করার কারণে দৈনিক নবযুগ নামক একটি অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক ও অন্যান্য কর্মকর্তা সহ সর্বমোট ৪২ জনের বিরুদ্ধে মোঃ বায়েজিদ শেখ বাদী হয়ে নড়াইলের লোহাগাড়া থানার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় মামলাটি গ্রহণ করেন অত্র আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোরশেদুল আলম । মামলার নংঃ এম.পি. – ৭৫/২০২৩।
এ মামলায় সর্বমোট ৪২ জনকে আসামী করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন – ইসরাত রশিদ (সম্পাদক, দৈনিক নবযুগ), জনি জোসেফ ডি কস্তা (সহ-সম্পাদক, দৈনিক নবযুগ), নুরুল হুদা (সিনিয়র সহ-সম্পাদক, দৈনিক নবযুগ), নূর মোহাম্মদ (উপদেষ্টা, দৈনিক নবযুগ), আলী আমিন (প্রকাশক, দৈনিক নবযুগ), এম ডি ওবায়দুর রহমান খান (প্রদায়ক, দৈনিক নবযুগ), এম ডি মহিউদ্দিন মাসুদ (সহকারী প্রদায়ক, দৈনিক নবযুগ), এম ডি আসাদ উজ্জামান খান (রনি) (সহকারী প্রদায়ক, দৈনিক নবযুগ), মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম জায়গীরদার, এম ডি আশরাফ হোসেন, সমরুন নেসা, এম ডি আরমান হোসেন, মোঃ আব্দুল মুমিন, জোবায়ের হোসেন, নুঝাত রহমান, মোঃ মইন উদ্দীন চৌধুরী, ফারজানা পারভীন, মোঃ জাকির হোসাইন, ইউসুফ আহমেদ, এম ডি তোফায়েল হোসেন, মোঃ মাহফুজুর রাহামান, আব্দুল আদুদ, শাকিরিন আক্তার নাহিন, জনি চন্দ্র সাহা, আমাদুর রাহমান চৌধুরী, রাবেয়া আখতার, রেদোয়ানুর রহমান, বজলুল করিম, ইমরুল কায়েস, এম ডি জিল্লুর রহমান, সোহেলা আহসান চৌধুরী, মোঃ রাজু আহমেদ ইমন, আমীন আল আকবার, জিশান তানভীর মোস্তফা, নুরুল ফারুক শাকের, নিজাম উদ্দীন দোদন, এম ডি কামরুল হাসান, এম ডি কামরান আহমেদ, আবু বকর সিদ্দীক, এমডি দিদার আহমেদ, সামিয়া খানম তিশা, এবং উম্মা কুলসুম নার্গিস বানু।
আদালত প্রতিনিধি জানান, বিগত ৩রা মে অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা – দৈনিক নবযুগ “র্যাব কী শেখ হাসিনার রক্ষী বাহিনী? মুজিবীয় রক্ষী বাহিনীর মর্মান্তিক পরিণতি থেকে কোনো সুশিক্ষা নিতে পেরেছে কী বর্তমান আওয়ামী লীগ?” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে (এটি পূর্বে গত বছর ২৩শে জুলাই আরো স্বল্প পরিসরে ছাঁপা হয়েছিলো “মার্কিন সরকার দ্বারা র্যাব নিষিদ্ধ কিন্তু আওয়ামী লীগ এর র্যাব-এর প্রতি সমর্থন অনড়ঃ পাঠকেরা কী ভাবছেন?” শিরোনামে)। এই প্রবন্ধে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ রক্ষী বাহিনী, র্যাব, বাকশাল, এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানারকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যদের বিরূদ্ধে হুমকিস্বরূপ মন্তব্য ও প্রকাশ করা হয়।
মামলার বিষয়ে মামলাটির বাদী মোঃ বায়েজীদ শেখ-এর সাথে কথোপকথন-এ তিনি জানান, “আসামীদের প্রত্যেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলেও রাজাকারের বাচ্চাগুলো থেকে এখনো মুক্তি পায়নি। তাদের এতো ধৃষ্টতা কিভাবে হয় বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার? এদের বাংলাদেশে থাকার কোন অধিকার নেই।”
মামলার নথি পর্যালোচনা করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোরশেদুল আলম মামলাটি আমলে নেন এবং মামলার নথি ও প্রমাণাদি নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার অফিসার-ইন-চার্জ বরাবরে প্রেরণের জন্যে আদেশ প্রদান করেন। ৭-ই জুন ২০২৩ মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিকে এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এ-ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।