খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পেছাতে পারে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট উচ্চ আদালতে বুধবার পর্যন্ত দাখিল হয়নি। এ পরিস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি পেছাতে পারে। 

আবেদনটি শুনানির জন্য বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বরে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। শুনানিতে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের উপস্থিত থাকা নিয়ে বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা দু’দফা বৈঠক করেন।

অবশ্য বুধবার রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা পড়েনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সমকালকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানতে পর্যালোচনা সভা করেছেন। কিন্তু মেডিকেল বোর্ড এখনও তার কাছে প্রতিবেদন দেয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে না। প্রতিবেদন দাখিলে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সুনির্দিষ্টভাবে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। এ কারণে তারা আদালতে সময় প্রার্থনা করবেন।

গত ২৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিল করতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

বুধবার বিএনপিপন্থি পেশাজীবী সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যথাযথ চিকিৎসা না পেলে খালেদা জিয়ার স্থায়ী পঙ্গুত্ব এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগজনিত বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সমকালকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খুবই অসুস্থ। আশা করছি, পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ন্যায়বিচার পাব, তিনি জামিন পাবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *