ডিএসসিসি’র খাল-বক্স কালভার্টের ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ
তিন খাল ও দুই বক্স কালভার্ট থেকে ২০ হাজার টন মাটি-বর্জ্য উত্তোলন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে ‘মুক্তি’ দিতে ডিএসসিসি ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় দশ দিনে জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল এবং সেগুনবাগিচা ও পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে এই বর্জ্য অপসারণ করে।
একই প্রোগ্রামের আওতায় সোমবার (১৮ জানুয়ারি) নগরীর মাণ্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা এবং টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।
ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান টিটি পাড়ায় ওয়াসা পাম্প হাউজের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা ৫টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেন। একইসাথে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে মান্ডা খালের সীমানার মধ্যে থাকা চারটি ব্রিজ ও ২০টি ভবনের বর্ধিতাংশ উচ্ছেদ করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি দেয়ার প্রত্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্র্যাস প্রোগ্রামের আওতায় পরিচালিত তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ ও চ্যানেল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শেষ ১০ দিনে জিরানি খাল থেকে ২০ হাজার টন বর্জ্য ও মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার বাদে ৭ জানুয়ারি হতে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম প্রতিদিন চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি’র সম্পত্তি বিভাগ।
একইসঙ্গে শেষ ৭ কর্মদিবসে সেগুনবাগিচা ও পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৬৪৯ দশমিক ৯৫ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ৯ ট্রিপে ৬৫ দশমিক ৫১ টন, ১১ জানুয়ারি পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ১১৬ দশমিক ৬৯ টন, ১২ জানুয়ারি পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১০৭ দশমিক ৭৫ টন, ১৩ জানুয়ারি পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৪ ট্রিপে ১২০ দশমিক ১৩ টন, ১৫ জানুয়ারি পান্থপথ বক্স কালভার্ট হতে ৩ ট্রিপে ২২ দশমিক ২৩ টন, ১৬ জানুয়ারি পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১৩ ট্রিপে ৯৮ দশমিক ৯ টন, ১৭ জানুয়ারি ১৩ ট্রিপে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতে ১১৯ দশমিক ৫৫ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএসসিসি।
চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. বদরুল আমিন জানান, জিরানী, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল হতে আমাদের বর্জ্য উত্তোলন ও চ্যানেল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সাথে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট হতেও ডিএসসিসির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে সংস্থা পান্থপথ বক্স কালভার্টের ২৯টি পিটের মধ্যে ২৮টি পিটের মুখ হতে বর্জ্য অপসারণ করেছে। সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্টের ১৩টি পিট হতে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে সংস্থা।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরও জানান, পান্থপথ বক্স কালভার্টের দুই পিট এর মধ্যবর্তী অংশে ড্রেজারসহ নানা রকম যন্ত্র ব্যবহার করলেও বর্জ্য অপসারণে তা জটিল পর্যায়ে রয়ে গেছে। এই দুই পিটের মধ্যবর্তী অংশ হতে বর্জ্য অপসারণ করতে ডিএসসিসি দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহোযোগিতা নিয়ে কাজটি করছে বলেও জানান তিনি।