অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তবে এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত এই সভায় দলের সম্পাদকমণ্ডলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারির এই সময়ে বিএনপি-জামায়াত জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে অবৈধ পথে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্রের অলিগলি খুঁজে বেড়াচ্ছে। তারা দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। গণবিরোধী ও দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। দলীয় সভাপতির ৭৪তম জন্মদিনে আমরা এই শপথ গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট কখনোই জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না। সর্বদাই তাদের রাজনীতি ষড়যন্ত্রের। তাদের আস্থা স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তিতে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটনেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি। করোনা সংক্রমণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিয়ে তাকে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। এই মানবিকতা বা উদারতাকে বিএনপি দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবে।
তিনি বলেন, করোনা সংকটের স্থবিরতা কাটিয়ে দেশের মানুষ কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জীবনের সঙ্গে জীবিকার চাকা সচল রয়েছে। আওয়ামী লীগও ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আগে-পরে ৩১টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন শেষ হয়েছে। তবে করোনা মহামারিতে সৃষ্ট বাস্তব প্রেক্ষাপটে বিলম্ব হলেও অধিকাংশ পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা পড়েছে।
দলের নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় দলীয় সভাপতি যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা মেনেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। দলের দুঃসময়ে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, আটটি বিভাগের জন্য দলের আটটি টিম প্রস্তুত করে দলীয় প্রধানের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলে টিমগুলো আটটি বিভাগে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আগামী ৩ অক্টোবর গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, দিনটি উপলক্ষে ২৭ সেপ্টেম্বর দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা ও ত্রাণ বিতরণ করা হবে, ২৮ সেপ্টেম্বর মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে সব মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিকেল ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন এতিমখানা ও অসহায় দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সায়েম খান, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।