বিএনপি নিজে রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে বিএনপি নিচে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী আজ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বিএনপির কয়েকজন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন, এই সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলতে হবে। তবে উনাদের টেনে নামানোর হুমকির মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার মাসখানেক পর থেকেই তারা আমাদের টেনে নামানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু নিজেরাই পড়ে গেছে।’
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহ্বায়ক বাসেত মজুমদার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী, রতন কুমার রায়, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবু মো. হাশেম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যখন বলেন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা, তখন হাসি পায়। যাঁরা ইতিহাসকে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে বিকৃতি করেছেন, তাঁদের মুখে এসব শোভা পায় না। আজকে যখন দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, তখন তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই সরকার কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবে না, তাঁদের বলব, পদ্মাপাড়ে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্টোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে, ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, চট্টগ্রামেও মেট্টোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন–অগ্রগতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভারত–পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ঝড় উঠছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। কিন্তু একটি পক্ষ প্রশংসা করতে পারে না। বিএনপি আর তার দোসরেরা দেখেও দেখেনা, শুনেও শোনে না, চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির।