বিএনপির আমলে ভোট দেওয়ার অধিকারই মানুষের ছিল না: প্রধানমন্ত্রী
সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখে এখন নির্বাচন নিয়ে ‘নীতি কথা শুনতে হচ্ছে’ বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির আমলে দেশের মানুষের ভোট দেওয়ার ‘অধিকারটাই ছিল না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য হল, একটা মিলিটারি ডিক্টেটর অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় থেকে যে দল গঠন করেছিল ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে, তাদের কাছে এখন নানা রকম নীতির কথা শুনতে হয়।
সোমবার কৃষক লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমাদান কর্মসূচিতে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর দেশের কী উন্নতি হয়েছে? চলে গেল মার্শাল ল’তে। ক্ষমতা দখল করে কুক্ষিগত করা হলো। তারা ক্ষমতায় এসে পুরো নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে। ইনডেমনিটি দেয়। জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা করে। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে। স্বাধীনতার চেতনা থেকে দেশকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন করল। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর-ডাকাত বানাল। দেশের মানুষ কী পেল?
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের জয়ের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সেই নির্বাচন কি নির্বাচন হয়েছিল? সেখানে কি কোন মানুষ ভোট দিতে যেতে পেরেছে? সমস্ত বাংলাদেশে আর্মি ডিপ্লয় করা হয়েছে। সেখানে কি সিল মারা বলে? এরা তো প্রকাশ্যে সিল মারতো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের (বিএনপি) কাছ থেকেও কথা শুনতে হয় নির্বাচন নিয়ে, তারা কথা বলে কোন মুখে? কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তো তাদের ক্ষমতায় আসা না। অবৈধভাবে আসা অথবা দেশ বিক্রির (মুচলেকা) দিয়ে আসা। এই তো?
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে যারা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল, যুদ্ধাপরাধী ও খুনিদের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল… এদেশে যেন আর কখনো বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শের প্রতিটি নেতাকর্মী মানুষের সেবায় সবসময় পাশে থাকবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে।