মুক্তি মিলছে সৌদির সেই নারী অধিকারকর্মীর
চাপের মুখে সৌদির প্রখ্যাত নারী অধিকার কর্মী লুইজান আল-হাথলুলকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। একাধিক টুইটের মাধ্যমে তার বোন আলিয়া আল-হাথলুল আশা প্রকাশ করেন, বিচারকের নির্দেশই বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাথলুল বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাবেন।
২০১৮ সালে তাকে বন্দি করা হয়। সোমবার এই নারী অধিকারকর্মীর কারাগারে আটকের এক হাজার দিন পূর্ণ হয়। মুক্তি মিললেও সৌদি আরবের বাইরে ভ্রমণে নিষিদ্ধ হতে পারেন এই নারী অধিকারকর্মী।
সৌদির রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রদবদল, জনসাধারণের শৃঙ্খলার ক্ষতি, বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপকে পাশ কাটিয়ে লুজাইনকে পাঁচ বছর আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ২৮ ডিসেম্বর সৌদির সন্ত্রাসবাদ আদালত এ রায় দেন। এ রায়ে নিন্দা জানিয়ে তাকে মুক্তি দিতে জোর আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মহল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন বিজয় লাভের পর সৌদির বেশ কিছু ইস্যুতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে সৌদির নেতৃত্বধীন জোট বছরের পর বছর ইয়েমেনে হামলা চালানো এবং সৌদির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সম্প্রতি সৌদিকে ইয়েমেন ইস্যুতে সমর্থন না করার ঘোষণাও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
অনেকটা চাপের মুখেই কৌশলে বিতর্কিত ইস্যুতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন আনছে সৌদি প্রশাসন। সম্প্রতি বাদের আল-ইব্রাহিম নামের এক মহামারিবীদ এবং সাংবাদিক সালাহ আল-হায়দারকে মুক্তি দিয়েছে।
দীর্ঘদিন কারাবাসে থাকা হাথলুলকে মুক্তি দিতে নানা সময় আহ্বান জানিয়ে আসছিল মার্কিন কংগ্রেস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ তুলেছে যে, হাতলুলকে কারাগারে নানাভাবে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। সৌদির রাজপরিবারের শাসন ব্যবস্থা এবং প্রভাবশালী যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কারাগারে পাঠানো হয়, এমন অভিযোগ নারী অধিকারকর্মী হাথলুলের পরিবারের।