তুর্কি অভিযান চললে আইএস বন্দিদের পাহারায় অগ্রাধিকার নয়
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের অভিযান চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বন্দি জঙ্গিদের পাহারার বিষয়টিকে আর গুরুত্ব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কুর্দিরা।
কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) হাতে বর্তমানে হাজার হাজার সন্দেহভাজন আইএস সদস্য বন্দি। খবর বিবিসির।
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার যেসব এলাকা এসডিএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব এলাকায় বুধবার তুরস্ক অভিযান শুরু করার পর থেকে তীব্র বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এখন পর্যন্ত সীমান্তের দুইপাশে ৫০ জনের বেশি মারা গেছে বলে জানা গেছে।
তুরস্কের সঙ্গে সংযুক্ত সিরিয়ার সীমান্তে তুরস্কের সেনাবাহিনীর যুদ্ধে মনোনিবেশ করতে গিয়ে আটক থাকা আইএস বন্দিদের দিকে নজর রাখার বিষয়টি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন রেদুর জেলিল নামের এসডিএফের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আইএস বন্দিদের পাহারা দেওয়া এখন আর অগ্রাধিকার নয়। এই বন্দিদের আটক থাকা নিয়ে যারা চিন্তিত, তারা এসে পাহারা দিক।
জেলিল বলেন, আইএস বন্দিদের পাহারা দেওয়ার বদলে এসডিএফ’র সেনারা আমাদের শহর এবং আমাদের জনগণকে বাঁচানোর জন্য কাজ করবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, তুরস্কের অভিযান আইএসকে পুনরায় জোট বাধার সুযোগ করে দিচ্ছে। কামিশলি এবং হাসাকেহ অঞ্চলে এরইমধ্যে আইএস পুনরায় সক্রিয় হয়েছে এবং তাদের শাখার কার্যক্রম শুরু করেছে।
কামিশলি এবং হাসাকেহ শহরে দুইটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর কুর্দিদের পক্ষ থেকে এরকম মন্তব্য এলো। ওই দুটি গাড়ি বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
শুক্রবার তুরস্কের হামলা চলাকালীন কামিশলির একটি কারাগার থেকে পাঁচ আইএস সদস্যও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে এসডিএফ জানিয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, কুর্দি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা থেকে এরইমধ্যে এক লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দি প্রশাসন বলছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর কার্যত এসডিএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে উদ্যোগী হয় তুরস্ক। আইএস’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমা জোটের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল এসডিএফ।