ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিয়ে মেনে নেয়া জরুরি: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
আইন করে আটকানোর তো প্রশ্নই নেই। বরং ভিন্ন ধর্মে ও বর্ণে বিয়ে মানতে শিখতে হবে সমাজকে। লাভ জেহাদ ইস্যুতে এবার এমনই মত জানাল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। খবর জি নিউজের।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘নিজের সঙ্গী পছন্দ করার অধিকার আছে কোনও পুরুষ বা মহিলার। আর সেটা মেনে নিতে শিখতে হবে সমাজকে। শিক্ষার এখনই উৎকৃষ্ট সময়।’
বাবা-মা দেখেশুনে ছেলে কিংবা মেয়ের বিয়ে দেবেন। সমাজে এই রীতির প্রচলন বহুদিনের। তবে ইদানিং ভালোবেসে বা নিজে পছন্দ করে বিয়ে করছেন অনেকেই। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটি যদি ভিন্ন ধর্মের বা বর্ণের হন, তাহলে? এই প্রশ্ন ঘিরে এখন ভারতজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে।
মধ্যপ্রদেশ কিংবা উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপশাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই ভিন্ন ধর্মে বিয়েকে ‘লাভ জিহাদ’ আইন এনেছে সরকার। তবে এই ঘটনাটি কর্নাটকের। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই উচ্চশিক্ষিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কিন্তু ভিন্ন ধর্মে প্রেম মেনে নেননি ওই তরুণীর পরিবারের লোকেরা। বাধ্য হয়েই ২০২০ সালে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেন দম্পতি।
তারপর ওই দম্পতির অভিযোগ, স্রেফ পালিয়ে বিয়ে করার জন্যই ওই তরুণীর বিরুদ্ধে নিখোঁজ ডায়েরি করেন মেয়ের বাড়ির লোকেরা। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কউল ও হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রয়ারি) জানায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিবাহ মেনে নেওয়াটা খুবই জরুরি একটি সামাজিক অনুশীলন। অভিভাবকরা শুধু ভিন ধর্মে বিবাহের জন্য যদি নিজের সন্তানকে দূরে ঠেলে দেন, তা কখনই আদর্শ সামাজিক রীতি হতে পারে না।