মেনে চালাই মোটরসাইকেল

অলিগলি কিংবা রাজপথ—সহজ ও দ্রুততম বাহন হিসেবে মোটরসাইকেলের চাহিদা বেশি। যানজট এড়িয়ে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে এর জুড়ি নেই। প্রতিদিনের যাতায়াতের বাইরেও আজকাল মোটরসাইকেল নিয়ে অনেকেই দূরদূরান্তে ঘুরতে যান। তবে যাত্রাপথ ছোট বা বড়, যা-ই হোক না কেন, সাবধানতা আর নিয়ম মেনে চালানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই নিয়মকানুন মেনে আর কিছুটা বুদ্ধি খাটিয়ে চালালে মোটরসাইকেলযাত্রা হবে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। নিচে তাই বাইকারদের জন্য বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাডভেঞ্চার বাইকার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিন আবদুল মোমেন।

  • অল্প দূরত্বে বা নিয়মিত যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভালো মানের হেলমেট, দস্তানা (গ্লাভস) ও পায়ে জুতা পরুন। দূরে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে লেগ গার্ড, রাইডিং জ্যাকেট, রাইডিং প্যান্ট ও বুট জুতা ব্যবহার করুন।
  • প্রতিদিন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল বের করার আগে ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে কি না, দেখে নিন। এ ছাড়া হেডলাইট, ইন্ডিকেটর লাইটও পরীক্ষা করে নিন। যাত্রাপথ দীর্ঘ হলে ইঞ্জিন অয়েলের মাত্রা দেখে নিতে ভুলবেন না।
  • প্রতিদিনের পথের সঙ্গী মোটরসাইকেলটির নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে। এতে ইঞ্জিনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের কর্মক্ষমতা অটুট থাকবে। এ ছাড়া ধুয়েমুছে মোটরসাইকেলটি পরিষ্কার রাখাও জরুরি।
  • মোটরসাইকেলে নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যেতে হলে বাতাস প্রতিরোধী বিশেষ জ্যাকেট (উইন্ডচিটার বা উইন্ডব্রেকার) পরে নিন। এতে বাতাস আটকানোর পাশাপাশি আপনার পোশাকও ধুলাবালু থেকে রক্ষা পাবে।
  • মোটরসাইকেলে দূরে কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে অন্তত সাত দিন আগে পুরো বাইকের সার্ভিসিং করিয়ে নিন। অনেক সময় সার্ভিসিংয়ের পর খাপ খাইয়ে নিতে কয়েক দিন সময় লাগে। এ জন্যই সাত দিন হাতে রেখে সব ধরনের সার্ভিসিং করিয়ে নিন।
  • দূরের যাত্রায় পেছনে কোনো যাত্রী না নেওয়াই ভালো। সঙ্গে কোনো ব্যাগ বা মালামাল থাকলে মোটরসাইকেলের পেছনের অংশে তা ভালোভাবে বেঁধে নিন। এ ধরনের দীর্ঘ যাত্রায় ভারী খাবার পরিহার করুন। বেশি বেশি পানি পান করুন।
  • অপরিচিত বা দুর্গম এলাকায় গেলে মোটরসাইকেলের অতিরিক্ত চাবি সঙ্গে রাখুন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কারণে চাবি হারিয়ে গেলেও বিপদে পড়তে হবে না।
  • যেকোনো রাস্তায় মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকুন। রাস্তায় চলমান অন্য বাহনগুলোর গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের গতি নির্ধারণ করুন। তবে অবশ্যই সেটিও নিয়ন্ত্রণসীমার মধ্যে থাকতে হবে।
  • সর্বোপরি ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ দেশের আইন অনুযায়ী মোটরসাইকেল চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই আপনার কাছে থাকতে হবে। শুধু কাগজপত্র থাকলেই চলবে না, নিয়মিত সেগুলো হালনাগাদ করা আছে কি না, সেটিও দেখে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *