২৫ জানুয়ারির মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন আসবে
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। পরদিন শুরু হবে টিকার জন্য নিবন্ধন। আর টিকা দেওয়া শুরু হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বেক্সিমকো ফার্মা জানিয়েছে, আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি মধ্যে টিকা বাংলাদেশে আসবে। টিকা আসার পর দুই দিন বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেয়া হবে।
টিকা বিতরণের বিস্তারিত তুলে ধরে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম দফায় টিকার আওতায় আসবেন। তবে তাদেরও নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার পর ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেওয়ার দিন ও সময় জানানো হবে। ১৮ বছরের নিচে ও প্রসূতিরা টিকার আওতায় আসবে না। টিকাদানের জন্য প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ২ জন করে নার্স এবং ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন।’
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ডোজ পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, ‘আগে জানানো হয়েছিল- প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার নতুন তথ্যানুযায়ী, প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে। নতুন নিয়ম জানার পর টিকাদান পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কারণে প্রথম মাসেই একসঙ্গে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম যে ৫০ লাখ টিকা আসবে তা দিয়ে দেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে আরও টিকা চলে আসবে।’
আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরকারিভাবে নির্ধারিত ইপিআই কোল্ড স্টোরেজে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করবে বেক্সিমকো। ২৭ তারিখের মধ্যে জেলা পর্যায়ে এ টিকা পৌঁছাবে। আর ফেব্রুয়ারির শুরুতে টিকা পাবে দেশের মানুষ।