আফগানিস্তানে আইএসের ছদ্মবেশে হক্কানি নেটওয়ার্ক?
গত কয়েক মাস ধরে আফগানিস্তানে আইএস-কেপির নেতৃত্বে (ইসলামিক স্টেট- খোরাসান প্রদেশ) বেশ কয়েকটি বড় ধরনের হামলা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে এসেছে। বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানে এই সংগঠনটি ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগোচ্ছে।
আফগানিস্তানে সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর মধ্যে একটি জঙ্গিদের জালালাবাদের নাঙ্গারহার প্রদেশের মূল কারাগারটি দখলে নেওয়া। যেখানে টানা ২০ ঘণ্টা ধরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে, এরপর কারাগার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। খবর জি-নিউজের
যদিও পরে জানা গিয়েছিল, ওই সংঘর্ষের পরও অন্তত ১০০ জন জঙ্গি নিরাপদে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে অভিযান চালানো আইএস-কেপি আইএসআইএসের একটি শাখা। যারা কোরাসান নামেও পরিচিত। তারা একটি খেলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারাই পরে কারাগার দখল হামলার দায় স্বীকার করে। এছাড়া তারা এই দাবি আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি প্রচারমূলক অভিযানও চালায়।
তবে আফগান সরকার আইএস-কেপির ওই দাবি আমলে নিচ্ছে না। সরকারের দাবি, আইএস-কেপি আফগানিস্তানে তালেবান এবং হক্কানি নেটওয়ার্কের (এইচকিউএন) মুখোশের কাজ করছে।
সরকারের মতে, তালেবান এবং হক্কানি নেটওয়ার্ক আইএস-কেপির ছদ্মবেশে হামলা পরিচালনা করছে। যাতে তারা হামলাগুলোতে জড়িত থাকা অস্বীকার করতে পারে। তারা এসবে নিজেদের নাম যুক্ত করতে চায় না। এছাড়া আইএস-কেপিতে প্রচুর সংখ্যক সংগঠনের অনুপ্রবেশও ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান সরকারের এ দাবি একেবারে নিষ্ক্রিয় নয়। কারণ তারা যে আইএস কেপি নয়, এর সমর্থনে আফগান সরকারের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।