চিকিৎসকদের অনীহায় গ্রামের মানুষ ‘অবিচারের শিকার’: পরিকল্পনামন্ত্রী
সরকারি চিকিৎসকদের অনীহার ফলে গ্রামের মানুষ ‘অবিচারের শিকার’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। চিকিৎসকদের গ্রামে গিয়ে সেবা দিতে ‘অনীহার’ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এমএ মান্নান বলেন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার দুঃখ হয়, মেডিকেল প্রফেশন থেকে গ্রামাঞ্চলের মানুষের সেবার জন্য আমরা যতটুকু আশা করেছিলাম, ওই ধরনের সহায়তা আমরা পাইনি। এতটা অবিচারের শিকার হওয়ার কথা তাদের ছিল না। সাধারণ মানুষের অর্থেই গত ৫০ বছরে আমরা বিশাল বড় অবকাঠামো গড়ে তুলেছি।
শনিবার ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার (ইএসসি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের ত্রুটি বিশ্লেষণ: ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকরা গ্রামে না যাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, হয়ত অন্তর্নিহিত বড় কোনো বাধা আছে। না হলে কেন সরকার একের পর এক নানা ধরনের ইনসেনটিভ দেয়ার পরও তাদের (চিকিৎসকদের) গ্রামে রাখতে পারছি না। গ্রামের দিকে উনারা যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমি যখন আমলা ছিলাম তখন আমি মাঠে ময়দানে কাজ করেছি। এখন চিকিৎসার অবকাঠামো আছে, কিন্তু গ্রামাঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। এটাকে ঠিক কীভাবে বর্ণনা করব আমার জানা নেই।
এ সময় চিকিৎসদের প্রতি সরকারের আন্তরিকতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর টেস্টের অবকাঠামো, যেটা করতে ছয় থেকে নয় মাস সময় লাগত, সেই কাজ সরকার মাত্র ২৪ ঘণ্টায় করে আড়াই হাজার কোটি টাকার সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ করে দিয়েছি। এরপরও …ডাক্তারদের এসব কর্মকাণ্ড নাগরিকদের পীড়া দেয়।