মুম্বাই হামলার ১২ বছর: সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে ভারতের সাথে বাংলাদেশও

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল এবং ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশনসহ প্রায় ১২টি স্থাপনায় একযোগে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন।

এই হামলার ১২তম বার্ষিকীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনও ওই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি তুলেছে। এ লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ফোরাম মানববন্ধন, আলোচনা সভা, র‌্যালি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।এ সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণ ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বক্তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষত পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, পাকিস্তান সরকারেই ওই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শেল্টার ও অর্থ দিয়েছিল।

এদিন মুম্বাই হামলার ১২তম বার্ষিকীতে নিহতের স্মরণ ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, রাজশাহী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। 

ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সাংসদ (বিবিএস) নামের একটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ঢাকায় একটি সাইকেল র‌্যালি বের করা হয়। 

এছাড়াও বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির ব্যানারে রাজধানীর গুলশান মার্কেট মোড়ে পাকিস্তান হাই কমিশনের পাশে একটি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশ থেকে বক্তারা মুম্বাই হামলার সঙ্গে জড়িতদের কারা অর্থায়ন করেছিল সেটি খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

এদিকে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সোশ্যাল আক্টিভিস্ট ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *