গাজীপুরে জামায়াতের ১৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার
সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতার অভিযোগে গাজীপুরে জামায়াতের ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০১ আগস্ট) তাদের গাজীপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. জাকির হাসান।
তিনি আরও জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় গত ৩০ জুলাই সকালে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ গাছা থানা জামায়াতের আমীর আব্দুল মোতালিব, সেক্রেটারি আফজাল হোসাইনসহ নয়জনের নাম উল্লেখসহ এজাহার নামীয় ৩০ জন ও অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
পরের দিন ৩১ জুলাই সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আবারও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে ওই মিছিল থেকে পুলিশ জামায়াতের আট নেতাকর্মীকে আটক করে।
আটকরা হলেন- গাছা থানা জামায়াতের আমীর আব্দুল মোতালিব (৬০), সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন (৫৭), সিটি করপোরেশনের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শামিম আল মামুন (৫২), ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জালাল উদ্দিন (৩৮), জামায়াতের কর্মী আশরাফুল আলম রাজু (৪৩), মো. আব্দুস সালাম (৩২), মো. জাকারিয়া খান (৪৮) ও মো. আতিকুর রহমান (৪৫)।
পরে পুলিশ বাদী হয়ে গাছা থানায় মামলা দায়ের করে। পরে গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি মতে অভিযান চালিয়ে আরও নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- টঙ্গী পূর্ব থানা জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম (৫০), ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আবু সুফিয়ান (৩২), গাজীপুর মহানগরের রোকন মো. রহমতুল্লাহ (৫১), ইমরান (২৯), তামিরুল মিল্লাতের বিজ্ঞানের শিক্ষক মো. আশরাফুল আলম (৪৬), একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম (৪৬), মহানগর জামায়াতের রোকন সানাউল্লাহ (৫০), সক্রিয় কর্মী আব্দুল্লাহ (৪৫) ও সক্রিয় কর্মী নাজমুল হক (৪৫)। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।