২০ কোটির কথা অনুমাননির্ভর, জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনসংখ্যা নিয়ে অনেকে নানা কথা বলেন। কেউ বলেন ১৮ কোটি, কেউ বলেন ২০ কোটি। তবে এসব কথা অনুমাননির্ভর। এখন থেকে আমরা বলবো, দেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। এটিই আসল তথ্য।
বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিবিএসের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
এ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, জনশুমারি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশের মোট জনসংখ্যার তথ্য পেয়ে গেছি। কতভাগ নারী, কতভাগ পুরুষ সব তথ্য পেয়েছি। তথ্যে দেখলাম নারীর সংখ্যা কিন্তু বেশি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমরা জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন পেয়েছি। অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক প্রতিবেদনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। রিপোর্টও চমৎকারভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। জাতির পিতা সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্বের সব দেশেই জনশুমারি হয়। কাজটি খুবই জটিল ও সূক্ষ্মভাবে করতে হয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সবার হাতে মোবাইল জীবনের একটি অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত সময়ে আমরা নানা তথ্য-উপাত্ত জানতে পারি মোবাইলে। ১০ বছর পর পর হওয়া জনশুমারিতে রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। নানা গবেষণা ও পরিকল্পনা গ্রহণে এসব তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বের অনেকে দেশে বড় অংশ বয়স্ক মানুষ। কিন্তু আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী জনসংখ্যা বেশি। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। বড় আশার কথা। আমাদের এই তরুণ শক্তিকে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার জন্য কাজে লাগাতে হবে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, অনেকে বিবিএসের তথ্য নিয়ে কথা বলেন। আমরা দেখেছি, সফলভাবে বিবিএস তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এসডিজি বাস্তবায়নের ১০৫টি সূচক এ জনশুমারি থেকে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ছে। দেশের উৎপাদিত ট্যাবে ডিজিটাল জনশুমারি করেছি। দেশে বস্তিবাসী মাত্র ১৮ লাখ। এ সংখ্যা আগে বেশি ছিল। তার মানে বস্তি থেকে বেরিয়ে মানুষ অন্য জায়গায় বসবাস করছেন, দেশে দ্রুতহারে দারিদ্র্যতা কমছে। বর্তমানে দেশে ভাসমান মানুষ মাত্র ২২ হাজার। অনেক উন্নত দেশে এ সংখ্যা আরও বেশি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।