রায়পুরায় নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ, নিহত ২

নরসিংদীর রায়পুরায় ইউপি নির্বাচনের পরবর্তী আধিপত্য বিস্তারকে কন্দ্রে করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রুবেল মিয়া (২৮) ও মামুন মিয়া (৩০) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছে।

নিহত রুবেল ফারুকুল ইসলাম সমর্থিত মো. মানিক মিয়ার ছেলে এবং মামুন মিয়া একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।

রোববার দুপুর আনুমানিক ১২টায় বাশগাড়ী ইউনিয়নের খেয়াঘাট আমতলীতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিক এবং নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. ফারুকুল ইসলাম সমর্থিতদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় টেটা ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২০জন।

জানা যায়, মির্জাচর ইউনিয়নের মো. ফারুকুল ইসলাম এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাচর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. ফারুকুল ইসলাম সমর্থিত অধিকাংশ পরিবারকে এলাকা ছাড়া করেন ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিকের লোকজন। নির্বাচনের পরেই এলাকা ছাড়া এ পরিবারগুলো রোববার আনুমানিক সকাল ১০টায় তাদের নিজ বাড়ীতে ওঠার সময় দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় রুবেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে আহতদের মধ্য থেকে মামুন মিয়াকে বাঞ্চারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পথে নিহত হয়েছে।

এদিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুলের অধিকাংশ পরিবারকে এলাকা ছাড়া করেন নির্বাচনের আগের দিন রাতে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জাকির হোসেনের লোকজন। ওই সময় দুই দলের সংঘর্ষে সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশফুলের সমর্থিত মো. দুলাল মিয়া এবং জাকির হোসেনের সমর্থিক মো. সালাহ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। রোববার সকাল আনুমানিক ৭টায় আশরাফুলের সমর্থিত পরিবারগুলো তাদের নিজ বাড়ীতে ওঠার সময় দুই দলের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে আশরাফুল সমর্থিত মো. নুরুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

এ ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) গোবিন্দ সরকার দুই ইউনিয়নের মির্জাচর ইউনিয়নের একজনের নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং এলাকায় পরবর্তী সহিংসতায় এড়াতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।