আখাউড়ায় ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসায়ী নাজু মিয়া-(৪০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৮ মাস পর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। অগ্রিম টাকা নিয়ে মাদক না দেয়ায় মাদক ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া-(২৭) তাকে হত্যা করে।

নিহত নাজু মিয়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় হত্যাকারী রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল মিয়া উপজেলার নোয়ামুড়া গ্রামের মুসলিম মিয়ার ছেলে। 

সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআই কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৪ জুলাই দুপুরে আখাউড়ায় উপজেলার মিনারকুট গ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মো. নাজু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় প্রথমে আখাউড়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে নিহত নাজুর পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।

পিবিআইয়ের এসআই মিজানুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে দীর্ঘ আট মাস পর বের করেন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারকৃত রাসেল মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, নাজু মিয়াকে ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাদক ক্রয় ও পরিবহনের কাজে ব্যবহার করত রাসেল মিয়াসহ স্থানীয় একটি মাদক চোরাচালান চক্র। ঘটনার কিছু দিন আগে নাজু মিয়া অগ্রিম টাকা নিয়ে মাদক সরবরাহ করেনি। সে মাদক চোরাচালানের তথ্য পুলিশের কাছে ফাঁস করে দিতে পারে এ সন্দেহে রাসেল মিয়া ও তার সহযোগীরা নাজু মিয়াকে ভারতীয় সীমান্তের কাছে নিয়ে হত্যা করে। পরে নাজুর লাশ ফেলে দিয়ে তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মিজানুর রহমান জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে নাজু মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল মিয়া নাজুকে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। 

তিনি বলেন, নিহত নাজুর বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *