এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু: পররাষ্ট্রসচিব
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, ব্যবস্থাপনার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। তাই আমরা দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাবাসনের কথা বলেছি। তারা এতে সম্মত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সময় রাখাইনে আন্তর্জাতিক সংস্থার উপস্থিতি বিষয়ক প্রস্তাবে চীন ও মিয়ানমার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।’
ভার্চুয়াল ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গাদের গ্রাম-ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী প্রায় আট লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ইতোমধ্যে যাচাই করা ৪২ হাজার জনকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা বলা হয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারণ, এতে নিজেদের গ্রামের বা এলাকার সবাই একসঙ্গে গেলে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিরাপদ ও সুরক্ষিত বোধ করবে।’
রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারের আইন-কানুন মেনে চলে, বৈঠকে এ বিষয়ে আশ্বাস চায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা এআরএসএ-এর উপস্থিতির বিষয়টিও উল্লেখ করে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমাদের দেশে কোনো সন্ত্রাসীর আশ্রয় নেই। কিছু অপরাধী থাকলেও, তাদের কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিচয় নেই।’