জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে দুই দিনের কর্মসূচি বিএনপির
দলের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে বিএনপি। এ উপলক্ষে সোমবার (১৯ জানুয়ারি) ও মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করা হবে। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুর ১২টায় দলের বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। প্রকাশ করা হবে বিশেষ ক্রোড়পত্রও। একইদিন বেলা ৩টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে।
রিজভী আরও জানান, দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ পেশাজীবী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ শহীদ জিয়ার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শন এবং বিএনপি ও ড্যাবসহ চিকিৎসকদের সংগঠন ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করবে। মঙ্গলবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিএনপি’র উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন বুধবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে ড্যাব-ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও জানান, আগামী বুধবার বেলা ২টায় শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিশেষ বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। গভীর শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতির এক ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান এক ঐতিহাসিক যুগান্তকারি দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি হন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যার কারণে দেশের সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয় এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। তাই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নিজেদের নীলনক্শা বাস্তবায়নের কাঁটা ভেবে জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তাঁর এই আত্মত্যাগে জনগণের মধ্যে গড়ে উঠেছে দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে এক ইস্পাতকঠিন গণঐক্য।’