অ্যান্টিবডিকেও ধাঁধায় ফেলছে ‘ব্রাজিল স্ট্রেন’
করোনা আতঙ্কের নতুন নাম ‘ব্রাজিল স্ট্রেন’। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি অতিসংক্রামক এবং অ্যান্টিবডিকেও গোলকধাঁধায় ফেলতে পারে। এর আবার রকমফেরও রয়েছে। এ পর্যন্ত দুই ধরনের স্ট্রেনের কথা জানা গেছে। এর মধ্যে একটি যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
করোনার নতুন ধরন নিয়ে এমনিতেই বিপাকে আছে যুক্তরাজ্য। তার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরেকটি ধরন (স্ট্রেন) সেখানে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে আবার ব্রাজিল আতঙ্ক। নভেল করোনাভাইরাসের মিউটেশন নিয়ে কাজ করছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ওয়েন্ডি বার্কলে। জিটুপি-ইউকে ন্যাশনাল ভাইরোলজি কনসোর্টিয়ামের প্রধান ওয়েন্ডি জানান, ব্রাজিলের যে ধরনটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে, সেটি এখনো ব্রিটেনে ছড়াতে শুরু করেনি। স্ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পি.১’। এটি সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে চারজনের দেহে ধরা পড়ে। এরা ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চল থেকে ঘুরে টোকিওতে ফিরেছিল। জাপানের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষায় তাদের সংক্রমণ ধরা পড়ে। জাপানের বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, এটি অতিসংক্রামক এবং এর সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনের মিল রয়েছে, কিন্তু পার্থক্যও আছে। ওয়েন্ডি বলেন, জাপানে ব্রাজিলফেরত পর্যটকদের শরীরে যে ধরন মিলেছে, সেটি যুক্তরাজ্যে ছড়ায়নি। কিন্তু ব্রাজিল থেকে আরেকটি ধরন যুক্তরাজ্যে ঢুকেছে।
যুক্তরাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস জানিয়েছেন, পি.১ সংক্রমণের খবর তাঁর জানা নেই। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাজ্যে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের সন্দেহ, গত বছর জুলাই থেকে হয়তো ব্রাজিলে পি.১ সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আমাজনের সবচেয়ে বড় শহর মানাউসে গণসংক্রমণ ঘটিয়েছিল এটি। ওয়েন্ডি জানান, গবেষণা করতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন, করোনাভাইরাসের এই ধরন মানুষের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিকেও গোলকধাঁধায় ফেলে দিয়েছে। অ্যান্টিবডি আর ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করতে পারছে না। ফলে একবার করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগী ফের আক্রান্ত হচ্ছে। একই ব্যক্তির পুনরায় সংক্রমণ ঘটছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।