সমাধান খুঁজছে রাজ পরিবার
ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস মেগান মার্কেলের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা ভাবাচ্ছে ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে।
বুধবার বিবৃতিতে হ্যারি ও মেগানের ওই ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে এখন সমাধান খুঁজছেন রানি, প্রিন্স অব ওয়েলস এবং ডিউক অব ক্যামব্রিজ।
বিবিসি বলছে, রাজ পরিবারের কর্মীদের এ ব্যাপারে কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। ওই দুই সদস্যের ঘোষণায় রাজ পরিবার ‘আঘাত’ পেয়েছে।
রাজ পরিবার ছাড়া নিয়ে আলোচনার মধ্যেই কানাডায় ফিরে গেছেন মেগান মার্কেল; ক্রিসমাসের সময় ছেলে আর্চি এবং প্রিন্স হ্যারিসহ সেখানেই ছিলেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সিংহাসনের উত্তরাধিকারের তালিকায় আছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দুই নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি। এ হিসেবে প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট, প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হন। তাদের নির্দিষ্ট কিছু রাজকীয় দায়িত্ব পালন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার বিবৃতি ও ইনস্টগ্রামে পোস্ট দিয়ে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন হ্যারি ও মেগান। বিবৃতিতে তারা এ দায়িত্ব থেকে সরে এসে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করার কথাও বলেন।
রাজ পরিবার ছাড়ার পর ছেলে আর্চিকে নিয়ে অর্ধেক সময় যুক্তরাজ্য আর বাকি অর্ধেক সময় উত্তর আমেরিকায় কাটাবেন ৩৮ বছর বয়সী মেগান ও ৩৫ বছর বয়সী হ্যারি। রানি, প্রিন্স উইলিয়াম কিংবা রাজপরিবারের কোনও সদস্যকে না জানিয়ে হঠাৎ করে হ্যারি ও মেগানের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন রাজপরিবারের সদস্যরা।
গত অক্টোবরে গণমাধ্যমের নজরদারির মধ্যে থাকতে থাকতে জীবন বিষিয়ে ওঠার কথা জানান হ্যারি-মেগান। এর তিন মাসের মাথায় বুধবার বিবৃতি দিয়ে ও ইনস্টগ্রামে পোস্ট দিয়ে রাজপরিবার ছাড়ার কথা জানান তারা।
বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান বলেন, আমরা রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চাইছি। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করতে চাই। পাশাপাশি মহামান্য রানির প্রতি আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।
রানি, কমনওয়েলথ ও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান রেখেই যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে তারা সময় ভাগ করে নিতে চান বলেও জানান এই দম্পতি।
এই দম্পতির রাজ পরিবার ছাড়ার ঘোষণার পর বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানায়, হ্যারি-মেগানের চিন্তা-ভাবনাটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এ ধরনের জটিল বিষয় নিয়ে আরেকটু সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।
এর আগে ১৯৯৩ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানাও রাজকীয় দায়িত্ব কমিয়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজের মত জীবন কাটানোর। আর ১৯৩৬ সালে রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড মার্কিন নারী ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করার জন্য ত্যাগ করেন সিংহাসন।