দেশের প্রথম টাওয়ার কোম্পানি হিসাবে আইএসও সনদ পেলো ইডটকো
শীর্ষস্থানীয় সমন্বিত আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ মর্যাদাপূর্ণ আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ লাভ করেছে। টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণসহ সার্বিক পরিচালনের ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা সাধন এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ইডটকো বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ এই সনদ প্রদান করেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন’ (আইএসও)। দেশের প্রথম টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ-এর এই সনদ প্রাপ্তি টেলিযোগাযোগ শিল্পে অব্যাহত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি বড় অর্জন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। কোভিড- ১৯ মহামারীর মতো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ইডটকো বাংলাদেশ-কে এই আইএসও সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিরীক্ষা কার্যক্রম ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে গত নভেম্বরে ইডটকো বাংলাদেশ-কে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আইএসও সনদটি প্রদান করা হয়। ইডটকো’র এই সনদপ্রাপ্তির মধ্যদিয়ে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই বাংলাদেশে টেলি-অবকাঠামো সেবা প্রদান করছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে আরও উন্নতিসাধন, গতিশীল নানান কার্যক্রম ও কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতা নিশ্চিত করছে। আইএসও সনদপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে ইডটকো বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, ”আইএসও-এর কাছ থেকে এই সনদ পাওয়াটা আমাদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি।
এতে প্রমাণিত হয় যে, আমরা যাবতীয় পণ্য ও সেবায় সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্ট রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকি। দেশে ফাইভ জি প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান যে চাহিদা পূরণ এবং পরিচালন উৎকর্ষতার জন্য মর্যাদাপূর্ণ এই এমন স্বীকৃতি লাভের পর, আমরা আমাদের স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে নিত্যনতুন সেবা ও সমাধান নিয়ে আসার ব্যাপারে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি। জাতি গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ইডটকো বাংলাদেশ এখন সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে অবদান রাখতে চায়। এ লক্ষ্যে নিজেদের অগগ্রতির ধারা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবো। তিনি আরও বলেন,সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো- প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান সেবার মান এবং টেকসই উন্নয়নের যে দলগত প্রতিশ্রুতি আমাদের রয়েছে, এই আইএসও সনদপ্রাপ্তি তারই প্রতিফলন। এই প্রতিশ্রুতি ও স্বীকৃতি-ই বাংলাদেশের টেলিকম টাওয়ার শিল্পের বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অন্যদের তুলনায় আমাদেরকে আলাদা অবস্থানে নিয়ে যাবে। ‘আইএসও ৯০০১’ হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অর্গানাইজেশনের (আইএসও) সবচেয়ে মর্যাদাশীল সনদগুলোর একটি, যেটি দেওয়া হয় সুনির্দিষ্ট কিছু গুণমান ব্যবস্থাপনার নীতিমালা যথাযথভাবে পরিপালনের স্বীকৃতিস্বরূপ। আর ‘২০১৫’ হচ্ছে আইএসও-এর ‘আইএসও ৯০০১’ -এর পঞ্চম সংস্করণ, যেটি ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চালু করা হয়। ব্যবসার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে অধিকতর দক্ষ হয়ে ওঠার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করে থাকে ‘আইএসও’। ইডটকো বাংলাদেশ এর মালিকানা ও পরিচালনায় সারাদেশে বর্তমানে ১১ হাজারের বেশি টেলিকম টাওয়ার রয়েছে। এছাড়া ইডটকো-এর কার্যক্রম চলছে এমন আটটি (৮) দেশে এখন ৩১ হাজার ৮২০টিরও বেশি টেলিকম টাওয়ার আছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইডটকো নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ ও নিত্যনতুন পণ্য-সেবা উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে, যাতে টেকসই এবং শেয়ারিংয়ের উপযোগী টেকসই টেলিকম টাওয়ার অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে নির্বিঘœ সংযোগ-সেবা নিশ্চিত করা যায়।