যশোরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় শিশু শর্মিলা ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নীলুফার শিরিন এ দণ্ড ঘোষণা করেন।

মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত তজিবর রহমান (৫০) চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা।

ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শর্মিলা খাতুন (৯) চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে ও হাকিমপুর নূরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।  
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুন সন্ধ্যায় চৌগাছা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান কালুর মেয়ে শর্মিলা প্রতিবেশী তৈমুর হোসেন খানের আম বাগানে আম কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পার হয়ে রাতেও মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন। ২৬ জুন সন্ধ্যায় তারা জানতে পারেন যে পাশেই হামিকপুর গ্রামের জামান মৃধার আম বাগানে পচা গলা একটি মরদেহ পড়ে আছে।

সংবাদ পেয়ে তারা মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা হাসপাতালে শর্মিলার পরিহিত লাল ঘটি হাফ প্যান্ট, হাত এবং পায়ের পাতা দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় আটক আসামি তজিবর রহমান বাদীর সামনে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিলেন আসামি তার যৌনকার্য চরিতার্থ করার লক্ষে গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরলে শর্মিলা মারা যায়। হত্যার পর মরদেহ মেহগনি গাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখেন। পরে ২৭ জুন মৃত শিশুর বাবা হাফিজুর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত করে আসামি তজিবরের বিরুদ্ধে ওই বছরই ৬ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি তজিবর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।