‘বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি’
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন বিএনপি মানে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন আমরা মানি না। এটি শুধু আমাদের কাছে নয়, দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, গ্রহণীয় হতে পারে না। আর যে আইন মানুষ গ্রহণ করে না-সেটি কোনো আইনই নয়, সেটাকে কেউ মানবে না, এটাকে কেউ মানবেই না। বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ‘বাকশাল: গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, জহির উদ্দিন স্বপন, মীর নেওয়াজ আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা আপনাদেরকে জানিয়েছি যে, এই আইন পাস করার কোনো এখতিয়ার এই সংসদের নেই। কারণ এ্ই সংসদ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত কোনো সংসদ নয়। হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনের প্রশ্নই উঠে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা আরেকবার বাকশালে ঢুকতে চাই না।আমরা বলেছি, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তারা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং তাদের পরিচালনায় সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন। তারা ঠিক করবেন কিভাবে দেশ চলবে, কীভাবে দেশ চলবে না।
তিনি বলেন, বাকশাল গঠিত হয়েছিল সংসদে মাত্র ১১ মিনিটে। আমি এই মাত্র খবর পেয়েছি-একজন সাংবাদিক বন্ধু বললেন, নির্বাচন কমিশন আইন পাস হয়ে গেল। আমি হিসাব করে দেখলাম, এই আইন ১৭ তারিখে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করেছে। ২৩ তারিখে পার্লামেন্টে দেওয়া হয়েছে। তারপরে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে সংসদীয় কমিটিকে সংযোজন বা পরিবর্তন কিছু থাকে তা নিয়ে এসে আবার সেটা হাউজে উপস্থাপন করতে।চব্বিশ ঘণ্টাও যায়নি, এর মধ্যে তারা এটা হাউজে নিয়ে এসে পাস করল। আওয়ামী লীগ সেদিনও বাকশাল করেছিল নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টায়, আজকেও তারা একটা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করলেন সেটা ভাবছেন যে, তারা বেঁচে যাবেন এই আইন পাস করে। সেই আশাতেই করলেন। কিন্তু তারা ভুলে গেলেন যে, বাকশাল করেও শেষ রক্ষা হয়নি। এই নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের শেষ রক্ষা হবে না।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন,আমরা পরিষ্কারভাবে এখনো দাবি করছি, এই বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক।
সূত্রঃ ইত্তেফাক