যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষীদের একটি কোয়ার্টারের ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কেউ হতাহত না হলেও ঘর থেকে কোনও মালামাল বের করতে পারেননি ক্ষতিগ্রস্তরা। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। জেলার বলছেন, ক্ষতি নির্ধারণ ও আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত নিশ্চিত হতে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ তদারকি করেন যশোরে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। এছাড়া কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, কারা সুবেদার ইউনুস আলীর ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে। এরপর তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ঘর থেকে নারী ও শিশুরা দৌড়ে বের হন। জীবন বাঁচাতে পারলেও আগুনে তাদের সহায় সম্বল সব পুড়ে যায়।
অপর এক ক্ষতিগ্রস্ত জানান, মালামালের সঙ্গে তার নগদ টাকা, সোনার গহনা সব পুড়ে গেছে। কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে বের হতে পারেননি। শিশু সন্তানের শীতের পোশাকটিও নেওয়ার সময় পাননি।
অগ্নিকাণ্ডে সুবেদার ইউনুস আলী, কারারক্ষী আশরাফুল আলম, আমিনুর রহমান, সুমন হোসেন, ফারুজ্জামান রাসেল ও জিয়াউর রহমানের ঘর পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল হক জানান, খবর পেয়ে তারা চারটি ইউনিট নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার আগেই ছয়টি ঘরের মালামালসহ ভস্মিভূত হয়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি কোনও ধারণা দিতে পারেননি।
জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। ছয়টি ঘর ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের রাতযাপন ও খাবারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও আগুনের সূত্রপাত উদঘাটনে একটি কমিটি গঠন করা হবে।