গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স: এক ইউএনও’র স্বপ্নপূরণ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলমের উদ্যোগে রোগীদের জন্য বিশেষ সেবা চালু করা হয়েছে। এই সেবার নাম ‘গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স’। উপজেলার কিছুটা পিছিয়ে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থায় যখন সরু রাস্তা দিয়ে রোগীদের আনা নেওয়া করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছিল, তখনই সিএনজি ইঞ্জিন চালিত এই বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হলো। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
‘গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স: একটি স্বপ্ন পূরণ’ শিরোনামের ওই ফেসবুক পোস্টে ইউএনও’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, অসুস্থ প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে আগে বেশ বেগ পেতে হত। কীভাবে আরো সহজে এসব দূরবর্তী জায়গা থেকে হাসপাতালে রোগীদের দ্রুত পৌঁছানো যায়, সেই ভাবনা থেকে সিএনজি ইঞ্জিনের সঙ্গে কাস্টমাইজড বডি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স তৈরির বিষয়টি মাথায় আসে। এ বিষয়ে অনেককে সাহায্যের জন্য অবগত করলেও এই প্রকল্পে এগিয়ে আসে গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান উত্তরা মোটর্স।
পরবর্তীতে ইউএনও এবং উত্তরা মোটর্সের আইডিয়া একত্রিত করে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচে একটি অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করা হয়। এই সিএনজি চালিত অ্যাম্বুলেন্সে অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্সের মত সকল সুবিধাই পাওয়া যাবে। এর বিশেষত্ব হলো গ্রামীণ সরু রাস্তাতেও চলতে সক্ষম। এখন দুইটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।
ঐ পোস্টে আরও জানানো হয়, গ্রামীণ সরু রাস্তায় চলাচল করবে বলে এর নাম রাখা হয়েছে- ‘গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স’। উপজেলার যেকোনো এলাকা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে মাত্র ৪০০ টাকায় মিলবে এই অ্যাম্বুলেন্স সেবা। নিজ ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে যেতে ২০০ টাকা এবং জেলা সদর হাসপাতালে রোগী পরিবহনে ৬০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।